Skip to content
Home » মনের দীঘি যমুনা দীঘি

মনের দীঘি যমুনা দীঘি

Share this in your social media

Jamunadighi and Valkimachan

মনের দীঘি যমুনা দীঘি

১:

বেশ কয়েকদিন ধরেই যমুনা দীঘি নাম টা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। অদ্ভুত একটা সুরেলা নাম। মাথার পোকাগুলো বড্ড জ্বালাতন শুরু করায় আর শীতকাল আসা অব্দি ধৈর্য ধরতে পারলাম না। সেপ্টেম্বরের এক শনিবারের মা তারা এক্সপ্রেসের টিকিট কেটেই ফেললাম। মা তারা আমাকে গুসকারা নামিয়ে দিলো সকাল প্রায় ১০.৪৫ নাগাদ। ১ নং প্লাটফর্ম দিয়ে বাইরে এসে এক চায়ের দোকানে জিজ্ঞেস করে জানলাম যমুনা দীঘি যাওয়ার বাস এই রাস্তা দিয়েই যাবে ১১ টা নাগাদ। কিছুক্ষনের মধ্যেই বাস ও এসে গেল এবং আমি জানলার ধার ও পেয়ে গেলাম।

২:

গুসকারার সরু ঘিঞ্জি রাস্তা আর ভিড়ভাট্টা ছাড়িয়ে কিছুটা যাওয়ার পরেই দুপাশে শুরু হয়ে গেল সবুজ ধানক্ষেত। পঞ্চাশ মিনিট যাত্রাপথের দ্বিতীয়ার্ধ টা সত্যি নয়নাভিরাম। দূরে চোখে পড়ছে ছোট ছোট কিছু গ্রাম। গ্রাম বলতে কয়েকটি মাটির ঘর মাত্র। সরু পিচের রাস্তার দুধারে মাইলের পর মাইল সবুজ আর হলুদে মেশানো ধানক্ষেত। দেখতে দেখতে পৌঁছে গেলাম স্টেট ফিশারিজ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরশনের ( SFDC ) এর Jamunadighi Amrapali Complex একেবারে গেটের সামনে। এদের কমপ্লেক্সটি একেবারে রাস্তার ধারেই, তাই নেমেই সোজা ঢুকে পড়লাম।

৩:

WBSFD এর ওয়েব সাইট থেকে আগেই অনলাইন বুকিং করা ছিল। অফিস ঘরে এন্ট্রি সেরে চলে এলাম দোতলার এসি রুমে। বেশ বড় ঘর। বারান্দা টা রাস্তার দিকে। অবশ্য সেটাকে বারান্দা না বলে মিনি ছাদ বলাই ভালো। বারান্দা থেকে দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ  ধানক্ষেত দৃশ্যমান। ঢোকার সময়তেই খাবারের অর্ডার টা দিয়ে এসেছিলাম। স্নান সেরে একটু পরে চলে এলাম নিচে ক্যান্টিনে। এলাকাটি বর্ধমান জেলাতে হলেও, আবহাওয়া দেখে মনে হচ্ছে বীরভূমের কাঠ ফাটা গরম। তার ওপর এই এলাকায় কোনো বৃষ্টিও হয়নি গত কয়েকদিনে। অতএব এই রোদ মাথায় নিয়ে এখনই বাইরে বেড়ানোটা একটু বেশিই সাহসিকতার পরিচয় হয়ে যাবে, রোদ একটু পড়লে তবেই বেরোনো টা শ্রেয়। মধ্যাহ্নভোজ সেরে কমপ্লেক্সের আশপাশটা ছায়ায় ছায়ায় একটু ঘুরে নিলাম। কম্পাউন্ড এর ভেতরেই আছে একটি কালী মন্দির। ছোট একটি দীঘির ঠিক মাজখানে আছে একটি ভাসমান ক্যাফে, Floatel. এই দীঘিতে বোটিং এর ব্যাবস্থাও আছে।

যমুনা দীঘিতে প্রায় ২৪ টা বড় বড় দীঘি আছে স্টেট ফিশারিজ এর। এই দীঘি দেখার ব্যাপারটা কাল সকালের জন্য তুলে রাখলাম। ২ মাস হলো সরকারের তরফ থেকেই একটি টোটো রাখা হয়েছে কম্পউন্ডে। ন্যায্য ভাড়া দিয়ে সেই টোটো টা ট্যুরিস্টরা ঘুরতে যেতে পারেন। আপাতত গোটা আম্রপালি তে আমিই একমাত্র অতিথি। কথা বলে ঠিক করে নিলাম ৪.৩০ টা নাগাদ বেরিয়ে ভালকি মাচান যাবো। ১৫০ টাকা ভাড়া ধার্য হলো। রুমে গিয়ে অল্প বিশ্রাম নিয়ে যথাসময় ক্যামেরার ব্যাগটা পিঠে চাপিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।

৪:

আম্রপালি থেকে ভালকি মাচানের দূরত্ব ৬.৩ কিমি। ভালকির জঙ্গলের রাস্তায় আগে পরে ভালকি গ্রাম। এই গ্রামটি একটু ঘুরে তবে মাচান দেখতে যাবো, এরকম ভাবেই কথা বলা ছিল টোটো চালক, হুসেইন ভাইয়ের সাথে। ভালকি মাচান নাম টা শুনেই মনে প্রশ্ন জাগছে তো? এমন অদ্ভুত নাম কেন? এই নাম নিয়ে কিছু প্রচলিত গল্পকথা আছে, টোটো তে যেতে যেতে হুসেন ভাইয়ের মুখেও তার কিছুটা শুনলাম। একদল বলে এখানে বহু বছর আগে ভল্লুপদ বলে এক রাজা ছিল। তাঁর জন্মের পরেই তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়। এই এলাকায় তখন বেশ গভীর জঙ্গল এবং বাঘ, ভাল্লুক সহ আরও কিছু বন্য প্রাণীতে ভরা এই জঙ্গল। মাতৃহারা দুধের শিশু এই ভল্লুপদ কে তখন এক ভালুক স্তন্যপান করিয়ে মানুষ করে তোলে। বন্য প্রাণীদের সাথেই বড় হয়ে ওঠে ভল্লুপদ, অনেকটা মগলির গল্পের মতন। বড় হয়ে অরণ্যের জন্তু জানোয়ার দের ওপর নজর রাখার জন্য ভল্লুপদ বানালো এক মাচান। সেই থেকে নাম ভালকি মাচান। পরে বর্ধমানের অন্য রাজা মহারাজরা এই মাচান কে ব্যবহার করতো বন্য প্রাণী দূর থেকে বসে শিকার করার জন্য। মাচানের ঠিক নিচেই একটি সুড়ঙ্গ পথ তৈরী করেছিলেন মহারাজা বিজয় চাঁদ, সেটি নাকি একেবারে বর্ধমান রাজবাড়ি তে গিয়ে উঠেছে।

অন্য একদলের মতে, সুরাটের কোনো এক রাজা স্বপত্নীক তীর্থ ভ্রমণে বেরোন। কিন্তু তিনি আউসগ্রামের জঙ্গলে এসে আটকে পরেন কারণ তাঁর রানীর প্রসব যন্ত্রনা ওঠে। কিছুদিনের মধ্যেই রানী এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু জন্মের পরেই সেই শিশু কোনো নড়াচড়া না করায় তাঁরা ভাবলেন মৃত সন্তানের জন্ম হয়েছে, এবং শিশুটিকে জঙ্গলে ফেলে তাঁরা চলে যান। পরে এক ব্রাহ্মণ জঙ্গলের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় একটি শিশুর কান্না শুনতে পেয়ে খোঁজ করেন। দেখেন একটি স্ত্রী ভাল্লুক একটি শিশুকে বুকে আগলে রেখেছে নিজের কোলের শিশুর মতন। ব্রাহ্মণ এগিয়ে যেতেই ভাল্লুক শিশুটিকে নামিয়ে রেখে জঙ্গলে মিলিয়ে যায়। এই ভাল্লুক মাতার কোল থেকে উদ্ধার হয়েছিল বলেই শিশুটির নামকরণ হয় ভল্লুপদ।

এমনই আরো কিছু গল্প শুনতে শুনতে পৌঁছে গেলাম ভালকি গ্রাম। আকাশে তখন একটি মিঠে হলদে আভা। শাল পিয়ালের জঙ্গলে ঘোরা ছোট্ট এই ভালকি গ্রাম। বেশিরভাগ ঘরই এখানে মাটির।

অনাড়ম্বর, শান্ত, স্নিগ্ধ জীবন যাপন এই গ্রামটির মানুষগুলোর। একটু যারা হয়তো অবস্থাপন্ন, তাদের দোতলা মাটির বাড়ি। পড়ন্ত বেলার হলদে মিঠে আভা মাটির বাড়িগুলো কে যেন এক রূপকথার গ্রামে পরিণত করেছে। লাল মাটির রাস্তার কোনো এক বাঁকে কোনো এক গ্রামবাসীর ঘরে ফেরা।

গ্রামের আনাচে কানাচে ইতঃস্তত ছড়িয়ে থাকা ভগ্নপ্রায় রাজবাড়ির একটুকরো দূর্গা দালান এবং রাজবাড়ির কিছু অংশবিশেষ। কোথাও বা কিছু টেরাকোটার আর সুরকির  জোড়া মন্দির। না। আজ আর এই মন্দিরে পুজো হয় না। ঢোকার অযোগ্য। তবে ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে যাওয়া অরণ্য যেন তার শত শত বছর আগের গল্প শোনানোর জন্যই পরম স্নেহে তার লতায় পাতায় জড়িয়ে রেখে আজও সম্পূর্ণভাবে ধূলিস্যাৎ হতে দেয়নি এই প্রাচীন মন্দির গুলোকে। এই মন্দির, পুরোনো রাজবাড়ির ছিটেফোঁটা অবশিষ্ট কিছু অংশ, রাঙা মাটি, গাড় সবুজ অরণ্যের ফাঁকে ফাঁকে গড়ে ওঠা দু এক ঘর পরিবার..এই নিয়েই এই শান্ত মধুর ভালকি গ্রাম। ছবির মতন এই গ্রামটিকে যতটা পারলাম লেন্স বন্দী করে, এগোলাম ভালকির অরণ্য আর মাচান দেখার উদ্দেশ্যে।

৫:

সূর্য তখন অস্তাচলে। গ্রাম ছাড়িয়ে শুরু হয়েছে ভালকি জঙ্গল। শাল, পিয়াল, মহুয়া…আরো কত নাম না জানা গাছ। মাঝখান দিয়ে সদ্য পিচ পড়ার মতন রাস্তা দিয়ে কিছুটা এগোতেই আমার ডান হাতে পেলাম সেই টাওয়ার বা মাচান।

আকাশের রক্তিম আভায় লাল ইঁটের এই স্থাপত্য টি যেন আরও রক্তিম হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। লম্বা ৪ টি উঁচু পিলার এর মতন স্থাপত্য, মাঝখানটা ফাঁকা। নিচে একটি গর্ত, যার মুখটি একটি লোহার রেলিঙের মতন ব্যারিকেড করে পেতে দেওয়া আছে। এই সেই মহারাজা বিজয় চাঁদের তৈরী সুড়ঙ্গ পথের প্রবেশ পথ। ভালকি মাচান। কিছুটা আরও এগিয়ে অরণ্য সুন্দরী রিসোর্ট। তার পাশেই কালো একটি ভাল্লুকের মূর্তি।

এর পেছনেই একটি জলাশয় । সেই জলাশয়কে ঘিরে আছে ভালকি অরণ্য। যাঁরা অরণ্য সুন্দরী তে থাকবেন, তারা ভালকির অরণ্যের সব থেকে কাছ থেকে অনুভব করতে পারবেন। ভালকি থেকে ফেরার পথে আমার অনুরোধে হুসেন নিয়ে এলো এক আদিবাসী গ্রামে। গ্রাম বলতে অবশ্য হাতে গোনা কয়েকটি মাত্র সাঁওতাল পরিবার। গ্রামটিতে ঢুকেই মনে হল কোনো এক উৎসবের ছাপ যেন রয়ে গেছে। হুসেন কে জিজ্ঞেস করে জানলাম ঠিক গতকালই এখানে হয়েছে ছাতা উৎসব। লম্বা একটি ছাতার আকৃতি তৈরী করা হয় বাঁশের। সেটিকেই সাঁওতাল রীতি তে পুজো করা হয় এবং তাকে ঘিরে চলে আদিবাসীদের গান ও নৃত্য। ভালকি গ্রামের বাড়ি ঘরের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা এই আদিবাসী গ্রাম। মাটির বাড়িগুলোর দেওয়ালে এখানে সাজানো সেই শান্তিনিকেতন বা অন্যান্য জায়গার আদিবাসী আলপনা দিয়ে।

আদিবাসী গ্রামের বেলাশেষের কিছু ছবি নিয়ে ফিরে চললাম আম্রপালি। পথে পড়লো একটি ছোট্ট ব্যারাজ, লক গেট গুলো তখন খোলা। কুনুর নদীর ওপর এই ব্যারাজ। সন্ধ্যের মুখে নীলচে আলোয় জলের আওয়াজ আর তার বয়ে চলা কিছুক্ষণ দেখে ফিরে এলাম রুমে।

৬:

পরেরদিন ভোর পাঁচটায় উঠে আমার সদ্য কেনা ৭০-৩০০ নিয়ে চলে এলাম দীঘির পারে, পাখির খোঁজে। যতদূর চোখ যায় একটার পর একটা দীঘি। দীঘির পাশ দিয়ে সরু রাস্তা দিয়ে এক দীঘি থেকে অন্য দীঘিতে যাওয়া যায়। Birding এর উপযুক্ত জায়গা এই যমুনা দীঘি। পাখির ছবি তোলার একটা নিজস্ব নেশা আছে। একেকটি পাখির ব্যবহার বুঝে তাকে stalking করা আর সঠিক মুহূর্তটির জন্য রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষা করে থাকা।

সময় যে নিজের অজান্তেই কিভাবে বয়ে চলে যায় বোঝাই যায় না। প্রকৃতির মাঝে কোথায় যেন হারিয়ে গেল আমার নিজের সত্ত্বা। ঝাঁকে ঝাঁকে Grey Heron| এ ছাড়াও আছে Pond Heron, Indian Pond Heron আর Cormorant.

দীঘির ওপারে শুরু হয়ে যাচ্ছে ধানক্ষেত। দিগন্ত বিস্তৃত। যতদূর চোখ যাচ্ছে, সবুজের আস্তরণ যেন চোক গেছে infinity! দীঘির মাঝখানের জমিগুলোতে আম বাগানের নিবিড় ছায়া আলো আঁধারিতে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে জায়গাটিকে। প্রতিটি দীঘিতে মাছ ভর্তি। থেকে থেকেই জলের মধ্যে তাদের দাপাদাপির আওয়াজ আসছে।

বেশ কিছুটা সময় এই নেশার জগতে কাটিয়ে ফিরে এলাম রুমে। জলখাবার সেরে একেবারে চেক আউট করে হুসেন কে নিয়েই বেরিয়ে পড়লাম।

৭:

অভিরামপুর ছাড়িয়ে একটি গ্রাম আছে। সেখানে একটি পুকুরের ঠিক মাজখানে আছে রাজাদের বিনোদনের জন্য নাচ মহলের মত ছোট একটি মহল। এই গ্রামে ঢুকে দেখি আটচালায় মনসা মূর্তি বানানোর কাজ চলছে। তুলির শেষ টানগুলো দিতে ব্যস্ত গ্রামীন শিল্পীরা। মা মনসার দুই হাতে দুটি সাপ। এক পাশে এক বালক, অন্য পাশে এক কন্যে। আজ রাত্রেই মনসা চলে যাবেন মণ্ডপে মণ্ডপে।

পুরো গ্রাম যেন ভেসে বেড়াচ্ছে সেই আনন্দই। প্রতিমা যেখান  বানানো হছে, তার ঠিক উল্টোদিকেই জগন্নাথ মন্দির। মন্দির দর্শন করে এগোলাম সেই নাচ মহলের দিকে। আজ বিশ্বকর্মা পুজো, কিন্তু এই গ্রাম মেতে আছে মনসা পুজো নিয়ে। এমন একটি গ্রামের একটি পুকুরে এরকম নাচ মহল, চোখে না দেখলে বিশ্বাসই হত ন।

গ্রামের পথ ছেড়ে বড় রাস্তায় উঠে হুসেন তখন দৌড়াচ্ছে গুসকারা স্টেশনের দিকে। আমার ফেরার ট্রেন শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস। ক্যামেরা এবং লেন্স সবে ব্যাগে ঢোকালাম। হঠাৎ চোখ আটকে গেল একটি পুকুর পারে। বেশ কিছু গ্রামের লোক জড় হয়েছে পুকুর পারে। একজন ঢাকিও আছে। মনে হলো গ্রামীন কোনো উৎসব চলছে। কিছু ছবি নেবার জন্য নেমে পড়লাম। কাছে গিয়ে দেখি এক মহিলা জলে নেমে মাথায় একটি মাটির কলসি ভর্তি জল নিয়ে চোখ বোজা অবস্থায় পাড়ের দিকে এগিয়ে আসছে। না তিনি এক নন, তার পেছনে আরও এক মহিলা আছন্ন অবস্থায় পাড়ের দিকে আসছেন ।

পারে বসে চোখ কপালে তুলে একটি অল্প বয়সী মেয়ে আচ্ছন্ন হয়ে হাটদুটিকে সাপের ফনার মত তুলে সারা শরীর দোলাচ্ছে। এদেরকেই ঘিরে রেখেছে গ্রামবাসীরা। মনসা পুজোয় এই গ্রামের এটি একটি প্রথা। ভর হয়ে এইসময় গ্রামের কিছু মানুষের। ধুপ ধুনো দিয়ে, ঢাকের তালে তালে নাচতে নাচতে গ্রামবাসীরা এই তিন মহিলাকে ঘিরে বড় রাস্তায় চলে এসে এগোতে থাকলো। ফেরার দিনে এই অভিনব প্রথা টা দেখতে পাওয়া আমার কাছে অনেকটা মেঘ না চাইতেই জলের মতন। একবাক্স তাজা স্মৃতি নিয়ে পৌঁছে গেলাম গুসকারা স্টেশনে। কোনো এক শীতে যমুনা দীঘি আর ভালকির অন্যরকম রূপ দেখার আশা মনে নিয়ে চেপে বসলাম ডাউন শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেসে।

© Arijit Kar

0 0 votes
Article Rating

I am eager to know your views on this post. Please leave a reply

0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments
error: Content is protected !!
%d bloggers like this: